ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হবিগঞ্জে সহিংসতা অব্যহত রয়েছে। সদর উপজেলার শায়েস্তানগর বাজার সংলগ্ন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইংল্যান্প প্রবাসী সাইদুর রহমানের বাসায় ভাংচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্ট করে স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ওই প্রবাসীর ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমানের সাথে স্থানীয় বি এন পি নেতাদের সদীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এছাড়াও সাইদুর নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতকর্মীদের দ্বারা আক্রমনের স্বীকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।"
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সাইদুরের ঘরে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার পর থেকে তার পরিাবরের সদস্যরা প্রতিবেশীর বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ বাঁচাতে ছাত্রলীগ নেতা সাইদুরের পরিবারের সদস্যরা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় ব্যক্তিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে খালাতো ভাই নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় বি এন পি-জামাতের ক্যাডার বাহিনী। এসময় সাইদুরের খালাত পিঠিয়ে গুরুতর আহত করলে তৎকনাৎ তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা সাইদুরের খালাত ভাই বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িঘর, স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ঘর ভেঙে দিয়ে বসতভিটা ফাঁকা করে ফেলছে। তাদের তাণ্ডব দেখে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি ৯৯৯ ফোন দিলসেনাবাহিনী এসে ছবি-ভিডিও করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা আবারও ফিরে এসে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি।'
হবিগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে অস্তিরতা বিরাজ করায় তারা মূলত ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে পারছেননা। কোন সহযোগিতা করতে পারছেননা। ক্ষতিগ্রস্থতরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার অনেক আত্মত্যাগের পর আমরা বিজয়ী হয়েছি। অথচ একটি মহল আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করছে। তারা সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুর করেছে। ওইসকল দুবৃত্তরা সেই সৈরাচার হাসিনার ন্যায় অত্যাচার ও দখল উৎসবে মেতে উঠেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, লুটপাট প্রতিরোধ, সংখ্যা লঘুদের প্রোটেকশন, পরিষ্কার অভিজান নানামুখী কর্মকাণ্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বদলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা করেছি। সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।