• ঢাকা
  • বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , সকাল ০৯:৫১
  • ১ কার্তিক, ১৪৩১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / ধর্ম

তাশাহহুদ

রিপোর্টার : দৈনিক বাংলা নগর
তাশাহহুদ ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

তাশাহহুদ আরবি শব্দ। অর্থ বিশ্বাসের সাক্ষ্য। এটার প্রচলিত নাম আত-তাহিয়াতু। এটার অর্থ শুভেচ্ছা বা অভিবাদন। নামাজে দুই রাকাত পর কিবলার দিকে মুখ করে হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করা হয়।

তাশাহহুদে রসুল মুহাম্মাদ সা. ও আল্লাহর প্রতি অনুগতের সাক্ষ্য দেয়া হয়। এর প্রথম অংশে আল্লাহর উদ্দেশে তাসবিহ পড়া হয়। দ্বিতীয় অংশে রসুল সা-এর উদ্দেশে দরুদ পড়া হয়, যেটি দরুদে ইবরাহিম নামে পরিচিত।

তাশাহুদ

 

اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهٗ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ
 
উচ্চারণ: আত্তাহিইয়াতু লিল্‌লাহি ওয়াস্‌ সালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বাইয়িবাত। আসসালামু আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্‌। আস্‌সালামু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন। আশ্‌হাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্‌দু ওয়া রসুলুহ্‌।
 অর্থ: যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রসুল।
 
হজরত জামিল ইবন হাসান ও আব্দুর রহমান ইবন উমর (রা.) কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত, এ হাদিসটি আব্দুর রহমান (রহ.) আবু মূসা আশ আরী (রা.) থেকে বর্ণিত । রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সামনে খুতবা দেন এবং তিনি আমাদের সমস্ত বিধান শিক্ষা দেন এবং আমাদের নামাজ শেখান । এরপর বলেন, যখন তোমরা নামাজ আদায় করবে এবং বৈঠকে বসবে তখন তোমাদের প্রথম কথা হবে اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (র.) …. ইবন মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তাশাহুদ শিক্ষা দিয়েছেন আমার হাত তার হাতের মধ্যে রেখে যেমনিভাবে তিনি আমাকে কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন।এবং তিনি অন্যান্য রাবীর তাশাহুদের ন্যায় বর্ণনা করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস-৭৮৪)
 

তাশাহহুদের বৈঠকে আঙুল তোলা ও নামানোর পদ্ধতি কী?

 

নামাজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে যখন মৌখিকভাবে তাওহিদ বা একাত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় তখন তার আঙুলও এই সাক্ষ্য দেবে। এ জন্য আত-তাহিয়াতু পড়তে পড়তে যখন ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা’ পর্যন্ত পৌঁছবে তখন বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা দ্বারা গোলক বানাবে, শাহাদত অ1ঙুলির মাধ্যমে ইশারা করবে। আর কনিষ্ঠা ও অনামিকা হাতের তালুর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ‘ইল্লাল্লাহ’ বলার পর শাহাদত অঙ্গুলি নিচু করবে। তবে অন্য আঙুলগুলো আপন অবস্থায় নামাজের শেষ পর্যন্ত থাকবে। বৃদ্ধাঙ্গুলির নিকটতম আঙুলকে শাহাদত আঙুল বলা হয়। ইশারা শেষ করে আঙুল আর নড়াচড়া করবে না।

হযরত আমের আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘রসুল সা. যখন তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন ডান হাতখানা ডান ঊরুর ওপর, বাঁ হাতখানা বাঁ ঊরুর ওপর রাখতেন। আর শাহাদত আঙুলের মাধ্যমে ইশারা করতেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন, বাঁ হাতের তালু হাঁটুর রাখতেন। (মুসলিম ১৩৩৬, ইবনে হিব্বান ৫/২৭০)
 
আঙুল নাচানোর বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রা. থেকে বর্ণিত, 
 

রসুল সা. যখন তাশাহুদ পড়তেন, তখন আঙুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু আঙুল নাড়াতেই থাকতেন না। (নাসায়ি কুবরা ১১৯৩, আবু দাউদ ৯৮৯, মুসনাদে আবি আওয়ানা ১৫৯৪)

 


Future Generation

Ramadan

আরও পড়ুন