• ঢাকা
  • বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , সকাল ১১:০০
  • ১ কার্তিক, ১৪৩১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

মুদি দোকানি হত্যা; দীপু মনি ৪, জয় ৫ দিনের রিমা

রিপোর্টার : দৈনিক বাংলা নগর
মুদি দোকানি হত্যা; দীপু মনি ৪, জয় ৫ দিনের রিমা ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির চারদিন এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। এরপর দুজনকেই ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাদের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।

 
এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর গুলশানের বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে আটক করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। রাতেই তাকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
 
এছাড়া ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায়, দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে আসামি করা হয়।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
 
 
এদিকে, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকেও মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
 
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। আত্মগোপনের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরতরা। তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন।
 

এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে

 

১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে তাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
 
এরপর ১৪ আগস্ট সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতারের তথ্য জানায় ডিএমপি।
 
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় টুকু, পলক ও সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। ১৬ আগস্ট রাতেই ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে আটক করে পুলিশ। তাকেও একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর বাইরে ১৬ আগস্ট সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিয়াউল আহসান সর্বশেষ টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। তাকেও নিউমার্কেট থানার ওই হকার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।


বাংলাদেশ

রাজনীতি

আরও পড়ুন