আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার জানাজা আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হামাসপ্রধানের জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইসমাইল হানিয়ার লাশ কাতারে দাফনের কথা রয়েছে।
হামাস নেতার জানাজায় লোকে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। জানাজার আগে হাজার হাজার মানুষ হানিয়ার ছবি নিয়ে মিছিল করে। তারা দ্রুত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত সামরিক অভিযান চালানোর দাবি জানান। খবর আরব নিউজের।
এ সময় ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ গুপ্তহত্যার জন্য ইসরায়েলকে 'কঠোর শান্তি' দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, হানিয়া ছিলেন আমাদের রাষ্ট্রয় মেহমান। আমাদের ভূখণ্ডে এসে আমাদের প্রিয় মেহমানকে হত্যার সাজা ইসরায়েলকে পেতেই হবে। তারা আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। এমতাবস্থায় আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমাদেরও ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর অধিকার আছে।
তেহরানের সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জানাজায় আসার আগে হাজার হাজার মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে ফিলিস্তিন ও হানিয়ার পতাকা নিয়ে প্রতিবাদসভা করে। তারা ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিশোধ নিতে ইরানের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বুধবার (৩১ জুলাই) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার আবাসস্থলে হামলায় হানিয়ার সঙ্গে তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন।
এর পর থেতেই গোটা মধ্যপ্রচ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা করতে পারে ইরান- এ আশঙ্কায় কটস্থ তেলাআবিব।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।