ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যান্স ক্লুজের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হান্স ক্লুজ সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এমপক্স করোনার মতো ভয়াবহ রূপ নেবে না। কারণ এমপক্স ভাইরাসের বিস্তার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তা আমরা এরইমধ্যে জেনেছি। আমরা সবাই একসাথে এ ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারি।’
ক্লুজ আরও জানান, নতুন ক্লেড ওয়ান ভ্যারিয়েন্টর ওপর নজরদারি ইউরোপকে আরও ভাল জনস্বাস্থ্য পরামর্শ এবং কম গুরুতর ক্লেড টু ভ্যারিয়েন্টের ওপর নজরদারির সুযোগ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় অঞ্চলে এখন প্রতি মাসে ক্লেড টু এমপক্স ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ১০০ নতুন সংক্রমণের তথ্য জানা যাচ্ছে।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্স নামের সংক্রামক রোগ। এরইমধ্যে আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশে এমপক্সে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও।
এজন্য এখন থেকেই এমপক্স ভাইরাস মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে যেসব এলাকায় ভ্যাকসিন দরকার সেখানে তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা দরকার। এমপক্স নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান ক্লুজ।
গত বছরের জানুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ডিআর কঙ্গোতে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন; যাদের বেশিরভাগই শিশু।
Hero Alom
Abhishek
হাসপাতাল