ক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশীদের জন্য বনভোজন কিংবা উৎসব মানেই যেন বদ্ধ ঘরে এক চিলতে রোদ। দেশ কিংবা বিদেশ পিকনিক মানেই বাঙ্গালীর মহাউৎসব। সবাই ছিল ব্যস্ততম সময়ে আড্ডা, খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া, আনন্দের উৎসবে ।
৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় নর্থ হলিউড পার্কে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটবাসীর আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়া আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক বনভোজন ও বন্যার্থদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান।চমৎকার আবহাওয়া সামারের শেষ পান্তে রৌদ্র ছায়া উজ্জল প্রাণবন্ত আনন্দ মুখর পরিবেশে সবাই আয়োজনটি উপভোগ করেন ।
অন্তত হাজারো সিলেটি সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এক মনোমুগ্ধকর মিলন মেলায় পরিনত হয়।
আব্দুল মুনিমের সভপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লায়েক আহমেদের সঞ্চালনায় মনোমুগ্ধকর এ আয়োজনে ছিল নারী-পু্রুষ,বাচ্চাদের অংশগ্রহনে বিভিন্ন খেলাধুলা, ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী খাবার ,র্যাফেল ড্র সহ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। বিনোদনমূলক ইভেন্ট ছিল ছেলে-মেয়েদের দৌড়, ফুটবল, আর মহিলাদের ছিল আকর্ষণীয় পিলো পাসিং এবং মিউজিক্যাল চেয়ার ইভেন্ট।
হাসি-হাসি-আনন্দ,গান আড্ডা আর খেলাধুলায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি পর্যন্ত উপভোগ করেন উপস্থিত গ্রেটার সিলোটবাসীসহ অতিথিরা।
বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রবাসী সহ জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়ার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, উপদেস্টামন্ডলী, আজীবন সদস্যবৃন্দ ও বাংলাদেশী কমিউনিটির সাংবাদিক, সংস্কৃতিক কর্মী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পরিশেষে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়ার সভাপতি আব্দুল মুনিম সবাইকে ধন্যবাদ জানান পিকনিকে অংশগ্রহন করার জন্য । তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও নিজ এলাকার প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রবাসীরা এরকম আয়োজন করে। এই আয়োজন দেশপ্রেমের অংশ। বাংলাদেশে বন্যাকবলিত এলাকায় সাহায্য করার আহ্বান জানান। যারা কষ্ট করে পিকনিকের আয়োজন করেছেন, স্পন্সর করে যারা সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে পিকনিক ২০২৪ এর সমাপ্ত ঘোষণা করেন ।
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন এর মধ্যদিয়ে লস এঞ্জেলেসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্ম সহ বহিবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে সিলেটি তথা বাঙ্গালী সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য। বিশেষ করে শিক্ষা ও সিলেটি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এই সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে অতিথিরা জানান।